ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে, তা দুঃখজনক: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে, তা দুঃখজনক: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে। ’ পৌর নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে, তা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে। ’

রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, গতকালের নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে। ’

ভোটকেন্দ্র সরকারি দলের দখলে ছিল— বিএনপির এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাহলে তাদের চারজন প্রার্থী কীভাবে বিজয়ী হলেন? বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করে। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝ দুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে। ’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে নির্বাচন মানেই ছিল হানাহানি, সংঘাত আর প্রাণহানি। বর্তমান সরকারের সময় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে। সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে, তা দুঃখজনক। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদের ভবিষ্যতে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ’

পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছে, তাদের ভবিষ্যতে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আর বিবেচনায় আনা হবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জয়ী হোক কিংবা পরাজিত হোক পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না, এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। ’

দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারা বিজয় লাভ করেছেন, তিনি তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং সমৃদ্ধির বিজয়। এ বিজয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিজয়। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়েছে গতকালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিল আশাব্যঞ্জক। সূত্র মতে, ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। এ ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ। ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএম এবং ৩১টিতে ব্যালটে ভোট হয়েছে। ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে কোনো জড়তা ছিল না। ইভিএমে ভোট দিতে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
এসকে/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।