খুলনা: সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষর্থীকে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরনের অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর থেকে ওই ছাত্রদ্বয় শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অরাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত বা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নামমাত্র সংগঠনগুলির অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগ নেতারা।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে পাঠানো বিবৃতিতে নেতারা বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের একমাত্র রাজনীতি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। সে কারণেই ছাত্রলীগ কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অনেক ত্যাগের ফসল। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ থেমে থাকবে না।
নেতারা আরো বলেন, ছাত্রলীগ সবসময় যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার স্বার্থে কাজ করে থাকে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে ছাত্রলীগ ছাত্রদের কোনো কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে না। ছাত্রলীগ মনে করে বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধ্যন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন অপরাধের শাস্তি বিধান ও প্রত্যাহারের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ছাত্রদ্বয় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে এই সমস্যার সমাধান সহজতর হতো বলে আমরা মনে করি। সেক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে সঠিক তথ্য বা ঘটনা না জেনে বিবৃতি দিয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য ছাত্রলীগ আহ্বান জানায়।
অন্যদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষকদের সঙ্গে সম্মানপূর্বক আচরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা।
বিবৃতিদাতা নেতারা হলেন- খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজহাওলাদার, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন সহ অন্যান্য নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এমআরএম/আরএ