ভোলা: ভোলায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ভোলা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অবিনাশ নন্দি ও মনজুরুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রের পোল, ইলিশা বাসস্ট্যান্ড ও শহীদ জিয়া স্কুলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে দুই প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন।
দুপুরে সংবাদ সংম্মেলন করে কাউন্সিলর প্রার্থী অবিনাশ নন্দি অভিযোগ করে বলেন, আসন্ন ভোলা পৌরসভার নির্বাচনের তিনি একজন কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে সমর্থকদের নিয়ে বুধবার সকালে ভদ্রের পোল এলাকায় জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ প্রার্থী মনজুরুল আলম দলবল নিয়ে তাদের ওপর আতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের ৮ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
আহতরা হলেন- মোস্তফা চৌধুরি, নোমান, পার্থ নন্দী, সুমন দে, শুভ, শাওন ও টুটুল। এলাকায় প্রভাব বিস্তার, কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি তিনি পুলিশ প্রশাসকের অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।
অরপরদিকে, অপর কাউন্সিল প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মনজুরুল আলম অভিযোগ করে বলেন, তিনিও এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন। শহরের ইলিশা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার সমর্থক ইউসুফকে মারধর করে অবিনাশ নন্দির সমর্থকরা। এতে আমাদের সমর্থরা তাদের ওপর চড়াও হলেও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আমরা সমর্থকদের শান্ত করেছি। তবে অবিনাশ নন্দির সমর্থকরা আমার বাসায় ইট নিক্ষেপ করে। এছাড়াও ইলিশা স্ট্যান্ড ও শহীদ জিয়া স্কুল এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তবে কোনো পক্ষ এখনো পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এনটি