ঢাকা: আল জাজিরার অপপ্রচার নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন: গণমাধ্যম ও ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, তথাকথিত অপপ্রচার নিয়ে আমাদের বিরোধী দল বিএনপি যে ভাষায় কথা বলছে, তা আসলে কোনো রাজনৈতিক ভাষা নয়। তারা আল জাজিরাকে সমর্থন করছে। আল জাজিরা কারা? তারা লাদেনের মতো সন্ত্রাসীর সাক্ষাৎকার ছাপিয়ে গণমাধ্যমের নীতি নিয়ে বাণিজ্য করেছে। আল জাজিরার সঙ্গে সন্ত্রাসী লাদেনের সম্পর্ক থাকবে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে, জঙ্গি শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইদের সম্পর্ক থাকবে, দণ্ডিত তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়ার সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এতে বাংলাদেশের মানুষ বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচলিত নন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা যেন উচ্চারিত না হয় সেজন্য জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরষ্কৃত করেছিলেন। একাত্তরের অপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করেছেন, দালাল আইন বাতিল করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। একই ধারায় খালেদা জিয়াও এগিয়েছেন, কিন্তু পারেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধ্বংস করতে পারেননি, আর পারবেনও না।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বার্গম্যান বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রমের জন্য মনে হয় বাংলাদেশের একটা অথরিটি। এক সময় নিজামী-মুজাহিদ-সাইদীর ছেলেরা বিদেশে ছিল নাম পদবী নিয়ে, তারা ছিল বাংলাদেশ বিরোধী অথরিটি। লন্ডনে চৌধুরী মঈন উদ্দিন ছিল বাংলাদেশ বিরোধী অথরিটি। এখন ব্যারিস্টার রাজ্জাক গেছেন, এখন হয়েছেন বার্গম্যান। সাদা চামড়া বলে অথরিটি নাকি আরও বেশি। একটা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে দিল, হয়ে গেল? আল জাজিরা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তো একটা রিপোর্টও করলো না। আল জাজিরা তার পরবর্তী কোন কিছুতেই রিপোর্ট করলো না। অথচ এখন প্রতিবেদন করছে। সে সময়ে কি কোনো দুর্নীতি হয়নি?
সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, দেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। এমন সময় আল জাজিরার যে সংবাদ পরিবেশন, সেটি প্রমাণ করে—আমাদের কিছু কিছু গণমাধ্যম দেশের এবং দেশের বাইরের আমাদের উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে সচেষ্ট আছে। সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যে, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকে অব্যাহত রাখার জন্যে, মৌলবাদী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে অবদিমত করার জন্য গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করবে।
সভায় ঢাকা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শামীম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ