ঢাকা: বছরব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
সোমবার (১ মার্চ) বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ডা. জেড জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, আহমেদ আযম খান, ভিপি জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ২০ দলীয় জোটের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, খন্দকার লুৎফর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সৈয়দ এহসানুল হুদা, শাহাদাত হোসেন সেলিম, আহমেদ আবদুল কাইউম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ প্রমুখ।
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আগামী ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এ ছাড়াও বছরব্যাপী নানা ধরনের কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে দলটি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বছর জুড়েই। প্রতি মাস শেষ হওয়ার আগেই পরের মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঘোষিত এক মাসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২ মার্চ ছাত্র সমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন শীর্ষক আলোচনা সভা, ৩ মার্চ ছাত্র সমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ শীর্ষক আলোচনা সভা। ৭ মার্চ আলোচনা সভা, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন, ৯ মার্চ সেমিনার, ১০ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা, ১৩ মার্চ বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন। ১৫ মার্চ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২০ মার্চ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার, ২২ মার্চ হবে স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, জেড ফোর্স এবং বীর উত্তম জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনার।
২৩ মার্চ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, ২৪ মার্চ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈরাচারি এরশাদের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল শীর্ষক সেমিনার, ২৫ মার্চ কাল রাত্রি শীর্ষক আলোচনা সভা করা হবে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধ ও শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা অর্জন, রক্তদান কর্মসূচি, সারাদেশে শোভাযাত্রা করা হবে।
২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ও বগুড়ায় বাগবাড়ি গমন এবং দুই স্থানে আলোচনা সভা, ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ ও ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্বোধন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২১
এমএইচ/আরআইএস