ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মির্জা আব্বাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
বিএনপির কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মির্জা আব্বাস

ঢাকা: ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলী নিখোঁজের বিষয় নিয়ে কী বলতে চেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিবের কাছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মির্জা আব্বাস।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় শাহজাহানপুরের বাসা থেকে চিঠিটি নিয়ে উত্তরার বাসায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পৌঁছিয়ে দেন দলের কেন্দ্রীয় দফতরের এক নেতা।

 চিঠি পাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে মির্জা আব্বাস বলেন, ১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পরদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবুও দল তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। তার বক্তব্য আসলে কেউ অনুধাবন করেনি, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।

চিঠিতে তিনি বলেন, আমি কখনো বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কাজ করিনি। দলের দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছি নিরসলভাবে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। গত ৪৩ বছরে আমার সামনে বিএনপি নিয়ে কেউ বিরূপ মন্তব্যের সাহস পায়নি। কেউ করলে তার কড়া প্রতিবাদ করেছি। ৪৩ বছর পর এ প্রথম একটি বক্তব্য নিয়ে দলের ভেতরে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমার দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন, আমি তার জবাব মহাসচিবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। জানা গেছে, খয়েরী রঙের বড় খামে করে এ চিঠি দেওয়া হয়।

গত ২২ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কাছে ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের বিষয়ে তার দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেন দলের মহাসচিব।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ দিবসের দিন ‘সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনী’র উদ্যোগে এ্ক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দেন তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যা্ন তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে ২২ এপ্রিল বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে মির্জা আব্বাসকে চিঠি দেন বিএনপি মহাসচিব।

ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় দলের নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, আমি বুঝলাম, আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করে নাই। তাহলে গুমটা করলো কে? কারা গুম করেছে? এ সরকারের কাছে আমি এটা জানতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ইলিয়াস গুমের পেছনে আমার দলের অভ্যন্তরে লুকায়িত যে বদমাশগুলো আছে তাদের বের করার ব্যবস্থা করেন, প্লিজ। তাদের অনেকেই চিনেন। ’

‘ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়, ইলিয়াস খুব গালিগালাজ করেছিলেন তাকে। সেই বিষধর সাপগুলো এখনও আমাদের দলে রয়ে গেছে। যদি এদের দল থেকে বিতাড়িত করতে না পারি, সামনে এগুতে পারবেন না কোনো অবস্থাতেই। ’ 

গণমাধ্যমে মির্জা আব্বাসের বক্তব্য প্রচারের পর ব্যাপক বির্তক সৃষ্টি হওয়ায় পরের দিন নিজের শাহজাহানপুরের বাসায় সাবেক ছাত্র দল নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে যে, গণমাধ্যম তার বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।