পিরোজপুর: প্রতিপক্ষের হামলায় পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সোহাগ শিকদারসহ (৩০) তিন নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় তাদের চারটি মোটরসাইকলও ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যায় পিরোজপুর পৌর সভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন- পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারখালী এলাকার শাহে আলম শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও পৌরসভার পালপাড়া এলাকার সেলিম কাজীর ছেলে কাইয়ুম কাজী (২২) ও জেলা শহরের সাপলাই মোড় এলাকার তপন চন্দ্র শীলের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী কৃষ্ণ শীল (২৫)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল বাংলানিউজকে জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আহত সাবেক নেতা সোহাগ শিকদার বাংলানিউজকে জানান, তিনিসহ ছাত্র ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী সোমবার সন্ধ্যার আগে বাজার থেকে ইফতার কিনে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বসে এলে কাউন্সিলর আবু শিকদার ও ছেলে এম শিকদার, স্থানীয় ক্যাডার আরমান, ওসমানসহ ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ পূর্ব পরিকল্পিভাবে তাদের ওপর হামলা করে। একই সঙ্গে তাদের বহন করা চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
জানা গেছে, হামলার সঙ্গে জড়ির কাউন্সিলর মো. আবু শিকদারের বাড়ি ও হামলায় আহত সোহাগ শিকাদরের বাড়ি একই এলাকার পাশাপাশি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এদের উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কাউন্সিলর আবু শিকদার ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে কাউন্সিলর মো. আবু শিকদারের বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে চারটি মোটরসাইকেলে করে এলাকায় ডুকে তার বাড়ির সামনে গিয়ে জামাতা ও তাকে গালিগালাজ করেন সোহাগ শিকদার। সে সময় তিনি প্রতিবাদ করলে তার লোকজন খারাপ আচরণ করেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে তাদের আটকে রাখেন। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২১
এসআরএস