ঢাকা: নিজ এলাকার এক নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান।
রোববার (১৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশ কীভাবে চলছে এইটা অনুমান করেন। আমি একজন সংসদ সদস্য হয়েও ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। তার ওপরে অভিযোগ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছি। উনিও বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু এখনও আমার সব জায়গায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হচ্ছে এবং শেষপর্যন্ত হয়তো আমাকে রিট করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে অসৎ আমলা, অসৎ ব্যবসায়ী এবং অসৎ কিছু সংখ্যক রাজনীতিবিদ এদের সমন্বয়ে যে সিন্ডিকেট হয়েছে। এইটা অত্যন্ত শক্তিশালী। এদের কাছে প্রধানমন্ত্রী জিম্মি, মন্ত্রিপরিষদ জিম্মি, সংসদ জিম্মি, এমপিরাও জিম্মি এবং সর্বোপরি জনগণ জিম্মি।
দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এলাকায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে। সেখানে একেবারে উপজেলার কাছাকাছি জায়গায়ও মানুষ বিনাপয়সার দিতে চাচ্ছেন। আমি একটা জায়গা দেখিয়েছি যেটা ফ্রি দেওয়া হবে। সেখানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ছিলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিরা ছিলেন, সবার সুস্পষ্ট মতামত নিয়েই বলেছিলাম এ জায়গাটা অধিগ্রহণ করেন। সেখানে প্রায় ২০ বিঘা জমি দাতারা দিতে আগ্রহী এবং জায়গাটা মহাসড়কের কাছে।
আরেকটা জায়গা আছে সেটা উপজেলার কাছে সেটাও দিয়েছি। কিন্তু সিন্ডিকেটকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ইউএনও এইগুলোতে কর্নপাত করছেন না। কোনো ধরনের সহযোগিতা করছেন না। উনি যা সহযোগিতা করছেন সেটা হলো ওখানার সিন্ডিকেটকে। সেই অভিযোগ আমি বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইউএনও মোছা. তাহমিনা আক্তারকে অন্যত্র দেওয়ার জন্য আমি দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে বলে যাচ্ছি। উনারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
ইউএনও দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন সন্দেহ করছি উনি যেভাবে দুর্নীতিবাজদের, সিন্ডিকেটদের মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার সন্দেহ হচ্ছে উনি লাভবান হচ্ছেন।
এমপি মোকাব্বির বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় যিনি ইউএনও আছেন উনাকে আমি অভিযুক্ত করতেছি এই যে, সিন্ডিকেটকে উনি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। সরকারি একটা নীতিমালা আছে সেই নীতিমালাকে উনি সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন।
আমি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। উনি এটা গ্রহণ করেছেন, দেখা যাক কী হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
এসএমএক/ওএইচ/