ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে ১৫ কোটি লোক আছে, তার মধ্যে ১২ কোটি লোকের কোনো (সঠিক) জন্মতারিখ নেই।
বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে মামলা প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মামলাটা যখন হাইকোর্টে গেল তাদের (বিচারপতিদের) প্রথম দিনই এটাকে ডিসমিস করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কারোরই বয়স ঠিক নেই। আমাদের সময়ে বাপ-মায়েরা বয়স ঠিক করতেন না, বয়স ঠিক করতেন স্কুলের হেডমাস্টার। আমরা যারা লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছি, আমাদের বয়স ঠিক করতেন হেডমাস্টার।
ডা. জাফর উল্লাহ বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স নিয়ে একটা মামলা করেছে, এটা দেখে হাইকোর্টের বিচারপতির প্রথমেই বলা উচিত ছিল—এইসব ফালতু কিছু দেখার জন্য হাইকোর্ট সৃষ্টি হয় নাই। আপনারা এটা কী করছেন? বিএনপি এত বড় একটা পার্টি, তার নেত্রীকে আপনারা অপমান করছেন। বিএনপির উচিত হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবনে যাওয়া এবং প্রধান বিচারপতিকে ঘেরাও করা। আজকে সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের কারও মুক্তি নেই।
তিনি বলেন, সরকার ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট করেছে। আমি একটা লেখা লিখেছি—অর্থমন্ত্রীর ভানুমতির খেলা। এই ৬ লাখ কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা পাবে জনপ্রশাসন অর্থাৎ আমলারা। তারা এক-পঞ্চমাংশ ভাগ পাবেন। বাজেটে সরকার তাদের খুশি করেছে। এই আমলারা সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন, তাই তাদের খুশি রাখতে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে আর সরকার দাঁড়িয়ে আছে ধারের (ঋণ) ওপরে। এই বছরের বাজেটের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, আন্দোলনের জন্য তৈরি হন। এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। আমাদের একযোগে লড়াই করতে হবে। বড় বড় দলগুলোকে বলি—আপনারা যদি ভেবে থাকেন আগামী নির্বাচনটা দেখি। তাহলে ভুল হবে। কারণ, উনি সাতের জায়গায় ৭০টা সিট দেবেন, কিন্তু ক্ষমতা দেবেন না। সুতরাং তাকে ক্ষমতা থেকে না নামিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে সারাদেশকে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ একমাত্র জনগণই পারে এমন শাসক দলকে হটিয়ে দিতে। আগামীতে আমাদের এর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
নাগরিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলম খন্দকার, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমিন বেপারী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমাউন কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
পিএস/এমজেএফ