কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নকে সাজানো ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ আদেশ দেন।
আদালত ও অন্যান্য একাধিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ৪ এপ্রিল জেলা শহরের নিউটাউন এলাকার এক তরুণী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নামে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জিয়াউদ্দিন মামলাটির তদন্ত শেষে গত ২৭ এপ্রিল মামলাটি থেকে লুৎফুর রহমান নয়নকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এদিকে মামলাটির তদন্তকালে মামলার বাদী তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীদের মামলা দায়েরের প্ররোচণাকারীদের নাম ফাঁস করেন। তখন বাদী (ওই তরুণী) জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খানের প্ররোচণায় তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি (মামলার বাদী) আরো জানান, এ মামলা দায়েরের মাধ্যমে লুৎফুর রহমান নয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট ও ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। তিনি লুৎফুর রহমান নয়নকে নির্দোষ দাবি করেন।
অপরদিকে মামলা দায়েরের পরপরই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খানের সঙ্গে মামলার বাদীর মোবাইল ফোনের কথোপোকথনের একটি রেকর্ড ফাঁস হয়। এ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মী মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন এ ঘটনায় জড়িত নয় বলে গণমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন।
মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়ন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাকে সাজানো ধর্ষণ মামলা দিয়ে মূলত ছাত্রলীগকে হেয় করা হয়েছে। অনেক গণমাধ্যম বিষয়টি যাছাই বাছাই না করেই ছাত্রলীগকে হেয় করে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি এ ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
আরএ