কিশোরগঞ্জ: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া দুই নেতা হলেন- কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবু নাসের ফারুক এবং কার্যকরী সদস্য শহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল।
সভায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ৯ উপধারা অনুযায়ী তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ তাদের স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না? তা জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির অ্যাডভোকেট এ এফ এম ওবায়দুল্লাহ পদত্যাগ করায় কমিটিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। সাংগঠনিক কাঠামো শূন্য হয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিয়ন সম্মেলনসহ কোনো ধরনের কার্যক্রম না করার জন্য সাংঠনিক জেলা হিসেবে দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) নূর মোহাম্মদকে নির্দেশ দেন। তবে নির্দেশ অমান্য করে পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করেন নূর মোহাম্মদ।
এসব সম্মেলনে অংশ নেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু নাসের ফারুক সঞ্জু এবং কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম হুমায়ুনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ তাদের স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না, তা জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু নাসের ফারুক সঞ্জু ও কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম হুমায়ুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২১
এসআরএস