ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
শুক্রবার(২জুলাই) বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এ দাবি করেন তারা।
মুক্তিযুদ্ধে দুই সন্তানসহ খালেদা জিয়ার বন্দি দিবস উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এই ভার্চ্যুয়াল সভা আয়োজিত হয়।
বিএনপির নেতৃত্ব সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে পত্র-পত্রিকায় কিছু সুধীজন আমাদের মাঝে মাঝে কিছু কিছু উপদেশ দিয়ে থাকেন, আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে থাকেন। তাদের সবিনয়ে বলব যে, এই কথাগুলো প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদকে উৎসাহিত করে, যারা ক্ষমতায় আছে তাদের ক্ষমতায় থাকার পথটাকে প্রশস্ত করে।
তিনি বলেন, আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা গণতন্ত্রের, সমস্যা ফ্যাসিজমের, সমস্যা আইনের শাসনের, সমস্যাটা হলো জাস্টিস নাই। আমাদের নেতৃত্ব কিন্তু পদে পদে পরীক্ষিত, পদে পদে তারা উত্তীর্ণ, শত নির্যাতন-অত্যাচারের কাছে যেমনি খালেদা জিয়া মাথা নত করেননি, যেমনি জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের কাছে মাথা নত করেননি, তিনি বুক টান করে একটি দেশ উপহার দিয়েছেন তেমনি আমাদের নেতৃত্বও পরীক্ষিত।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমানকে থামানোর জন্য, মুক্তিযুদ্ধকে থামানোর জন্য যেমন খালেদা জিয়াকে দুই শিশু সন্তানসহ আটক করা হয়েছিল, তেমনি ওয়ান-ইলেভেনে খালেদা জিয়াকে থামাতে তার সন্তান তারেক ও কোকোকে আটক করা হয়েছিল। তাদের আটক করার আগেও দরকষাকষি হয়েছিল। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া অথবা ম্যাডামকে বিদেশে চলে যেতে হবে। নেত্রীর মুখ থেকে শুনেছি, ওইদিন আমাদের নেতা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছিলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি, কেন আমাকে বিদেশ যেতে হবে? আমার যদি কোনো অন্যায় থাকে বিচার করুক। বিচার তো করতে পারলো না, তারা নির্যাতন করলো। সেদিন খালেদা জিয়া মাতৃত্ব নয়, দেশ ও দেশের মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া পাকিস্তানের হাতে বন্দি ছিলেন, এখন তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে বন্দি। ওয়ান-ইলেভেনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চলে যাবার জন্য বারবার প্রলুব্ধ করা হয়েছে। কিন্তু দেশের মাটি ও মানুষকে ছেড়ে তিনি যাননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, জেনারেল থেকে রাজনীতিতে এসেছেন, স্টেটম্যান হয়েছেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারক হয়েছেন—বিশ্বে কয়েকজন নেতার মধ্যে জিয়াউর রহমান বীরউত্তম একজন। তাকে বাংলাদেশের কোনো রাজনীতিবিদের সাথে তুলনা করার প্রয়োজন আমরা মনে করি না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিএনপি কখনো রাজনীতি করেনি। মুক্তিযুদ্ধের মাইলফলকগুলো সামনে আনা হলে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি লাভবান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ