ঢাকা: ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দীপ হত্যার দীর্ঘ ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আরিফ রায়হান দীপ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (০২ জুলাই) বিকেলে শহীদ আরিফ রায়হান দীপ স্মরণে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল স্মরণ সভায় এ দাবি জানান বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ইউকসু) সাবেক জিএস প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। এসময় বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শহীদ আরিফ রায়হান দীপের স্বজনরাও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দীপকে হত্যা করেছে। হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি, জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আমরা বুয়েটের সব হত্যার নিন্দা জানাই। দীপ হত্যার প্রধান আসামি মেজবাহ নিজেকে মানসিক বিকারগ্রস্ত দেখিয়ে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, তিনি বিয়ে করেছেন। আমরা চাই, মামলার প্রধান আসামির জামিন বাতিল করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দীপের হত্যাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক।
সভায় বক্তারা বলেন, আরিফ রায়হান দীপ হত্যার ৮ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো বিচার হয়নি। উল্টো প্রধান আসামি জামিনে বের হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন, যা খুবই হতাশাজনক। আমরা দেখেছি, অনেক মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করা হচ্ছে। কিন্তু আরিফ রায়হান দীপ হত্যার দ্রুত বিচার কেন হচ্ছে না? এ বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার মাধ্যমে দীপ হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। এসময় বক্তারা দীপ হত্যার দ্রুত বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দীপকে বর্বরভাবে মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী। পরে ২০১৩ সালের ২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২১
এসকে/এসআই