ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ভারতীয় ভেরিয়্যান্ট ছড়িয়ে এখন সারাদেশই করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সঙ্গে ভয়াবহভাবে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ পেয়ে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। ১৪ লাখ ৪০ হাজার জন দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। যারা দ্বিতীয় ডোজ পায়নি তাদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ জানে না।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে কমপক্ষে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারলেই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। সে অনুযায়ী ১৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে শতকরা ৩.৩০ শতাংশ।
জি এম কাদের বলেন, সরকারি সূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বিভিন্ন সোর্স থেকে পাওয়া টিকার মজুদ মাত্র ৫৭ লাখ। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার সরকারিভাবে বলা হয়েছে প্রতিমাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, যাতে প্রয়োজনীয় জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে ১ ডোজ করে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লেগে যাবে। ২ ডোজ করে দিতে গেলে এর প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগবে। সেটাও সম্ভব হবে যদি সময় মতো বাকি টিকা পাওয়া যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছে, করোনার টিকা নিলে আক্রান্তের হার যেমন কমে তেমনিভাবে কমে যায় আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি।
জাপা চেয়ারম্যান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে করোনা দেশকে কোন অবর্ণনীয় ভয়াবহতার দিকে নিয়ে যাবে সে বিষয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। মহামারি করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুততার সঙ্গে গণটিকা কর্মসূচি আরও জোরালো করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
এসএমএকে/আরবি