ঢাকা: আগুনে পুড়ে শ্রমিক হত্যার দায় রাষ্ট্র ও সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করেছেন গণসংহতি আন্দোলন।
শুক্রবার (০৯ জুলাই) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে নেতারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় আগুন লেগে ৫০ জনের অধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগুনে পুড়ে শ্রমিক হত্যার দায় রাষ্ট্র ও সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না।
নেতারা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে এতোগুলো প্রাণ ঝড়ে যাওয়ার পর জানা গেল এই কারখানা ভবনের নকশা ও কারখানা অনুমোদনে ত্রুটি ছিল। এ ধরনের ত্রুটি চিহ্নিত করা এবং শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয় ও তার অধীনে নানা সংস্থা ও লোকবল আছে। দুর্ঘটনা ঘটনার আগেই তা চিহ্নিত করা এবং প্রতিকারের জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্বও আছে। কিন্তু তাদের কাজের কোন জবাবদিহিতা নেই, নেই দায়িত্বে অবহেলার জন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা। এ ধরনের কাঠামোগত শ্রমিক হত্যার জন্য আজ পর্যন্ত কোন দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি কার্যকর করার কোনো নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই। ফলে এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটেই চলেছে।
নেতারা আরও বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতাহীন সরকার যে মানুষের জান-মাল রক্ষা করতে সক্ষম না, নিরাপরাধ ৫০ জন শ্রমিক আগুনে ভষ্মিভূত হয়ে নির্মমভাবে তা প্রমাণ করলো। এই করোনা মহামারিতে এমনিতেই মানুষের জীবন রক্ষা করা যাচ্ছেনা। তার ওপর অবহেলা ও জবাবদিহিতা না থাকায় আরও নিরিহ অর্ধশত মানুষকে প্রাণ দিতে হলো।
অবিলম্বে কারখানার কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের তদরকি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ