ঢাকা: বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক কলকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের পর কিছু হৈচৈ হয়, বিবৃতি হয়, প্রধানমন্ত্রী শোক দেন।
সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মানববন্ধনে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন।
রুপগঞ্জের হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজের আগুনে পুড়ে শ্রমিক হত্যা এবং দায়ী মালিক ও অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের শাস্তি এবং নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকারকে বলবো এই লোকদেখানো তদন্ত বাদ দিয়ে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা নিন। সেজান ফুড ফ্যাক্টরির মালিক আবুল হাসেমকে জনগণের দাবির মুখে গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা বলে তাকে যেন আবার ছেড়ে না দেওয়া হয়, তিনি যেন পার পেয়ে না যান। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে যারা দায়ী সরকারি ও সেই মালিক কর্তৃপক্ষের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, অকারণে প্রাণ দিয়েছেন, জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার হয়েছে সেইসব পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও তাদের পুনর্বাসন করতে হবে এবং কলকারাখানা শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে রুপগঞ্জে লাশের মিছিল, সেই লাশের মিছিল দেখে কোনো বিবেকবান মানুষ ঠিক থাকতে পারে না। যখন সেখানে আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের মা-বাবা আহাজারি করে, যখন ছেলে আকুতি জানায় যে, আমার মায়ের হাঁড়-গোড় যোগাড় করে দেন, তখন বুঝতে হয় কী পরিস্থিতি?
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্র্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় মানববন্ধনে দলের শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মহিতুল ইসলাম মোহন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
এমএইচ/এমআরএ