ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তাজউদ্দীনকে আমরা মূল্যায়ন করতে পারিনি: মোজাম্মেল হক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
তাজউদ্দীনকে আমরা মূল্যায়ন করতে পারিনি: মোজাম্মেল হক

ঢাকা: নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ তাজউদ্দীন আহমদকে আমরা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি বলে উল্লেখ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।  

শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্ব’ শীর্ষক ওয়েবমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়েবিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অন্যতম রচয়িতা মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদের ছায়াসঙ্গী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক ও সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সংসদ সদস্য লেখক সিমিন হোসেন রিমি, জাগরণের যুগ্ম সম্পাদক শহীদ সন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী ও নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।  

মোজাম্মেল হক তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে তার অনুপস্থিতিতে তাজউদ্দীন আহমদ যে শক্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সরকারের হাল ধরেছিলেন তা অতুলনীয়। তাজউদ্দীন আহমদ মুজিবনগরে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করে প্রমাণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ ছিল রাজনৈতিক যুদ্ধ। তিনি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও আদর্শ নিয়ে সরকার পরিচালনা করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ’৭২ সালে জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের মুক্তিযুদ্ধে চক্রান্তের বিষয়ে তাজউদ্দীন আহমদকে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের বিষয়ে ব্যবস্থা নিলে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতো এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হত। জাতির জন্য দুর্ভাগ্য আমরা যেমন এখনও বঙ্গবন্ধুকে পরিপূর্ণভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি, সে রকম নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখ তাজউদ্দীন আহমদকেও যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি।  

'তাজউদ্দীন আহমদ আমাকে বলেছিলেন, মানুষকে রাজনৈতিকভাবে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করা না হলে সফলতা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যার প্রমাণ ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্রের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা’।

সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাজউদ্দীন আহমদের বিশাল অবদান সঠিকভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি তার জীবনী সব মাধ্যমের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।