ঢাকা: ঘুমের ওষুধ না দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে একটি বৃদ্ধাশ্রমে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মিরপুর দক্ষিণ পাইকপাড়ায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ার সেন্টার’ নামে বৃদ্ধাশ্রমে হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার মিরপুর ১১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিপুলসহ ১০ জনকে আসামি করে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ার সেন্টারের সভাপতি ও পরিচালক মিল্টন সমদ্দার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
অন্যান্য আসামিরা হলেন—মো. গাজী রাহাত (৪০), তাপস (৩৫), বিপুল (২২), সুজন (২২), আলামিন (৩০), রিয়াজ (২৩), শুভ (৩০), বাপ্পি (২৮), নুরা (২০) ও আ. আওয়াল (২৮)।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামি গাজী রাহাত বৃদ্ধাশ্রমের ম্যানেজার মিরাজের কাছে ঘুমের ওষুধ চান। ম্যানেজার ঘুমের ওষুধ নেই বললে রাহাত ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। রাহাত চলে যাওয়ার সময় মিরাজকে বলেন—এখানে বৃদ্ধাশ্রম চালাতে হলে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।
সোমবার বিকেলে গাজী রাহাতসহ ছাত্রলীগ নেতা বিপুল ও তার বাহিনীর ১৫-২০ জন সদস্য বৃদ্ধাশ্রমে হামলা করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আ. হাকিম, মিরাজ, হামিদুল আরিফসহ অনেকে আহত হন। ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে হামলাকারীরা পুলিশ সদস্যদের হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেন।
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ার সেন্টারের সভাপতি মিল্টন সমাদ্দার বলেন, আমি ওই দিন ৯৯৯ এ কল দিয়ে মিরপুর মডেল থানাকে ঘটনা সম্পর্কে জানাই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে।
মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহমত উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃদ্ধাশ্রমে হামলা ঘটনায় জড়িত থাকায় বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা বিপুলসহ ৫ জনকে বহিষ্কার করেছে মিরপুর থানা ছাত্রলীগ। শুক্রবার (৩০ জুলাই) মিরপুর থানা ছাত্রলীগ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
এমএমআই/এমজেএফ