ঢাকা: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার জন্য সব দায়-দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সব নাগরিককে টিকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ সরকার এখন পর্যন্ত জনগণের সামনে দিতে পারেনি। সরকার অবলীলায় জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণা করছে। একদিকে সরকার বলছে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। অথচ গত ৭ মাসেও ৬০ লাখ টিকা দিতে পারেনি। টিকা প্রাপ্তির কোনো নিশ্চয়তা ছাড়াই প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। যা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয়। প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা দেওয়ার জন্য টিকা প্রাপ্তির উৎস সরকার এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এসব উক্তি এখন হাস্যকর হয়ে উঠেছে। এগুলো যে ফাঁকা বুলি এটা বুঝতে আর জনগণের কোনো বাকি নেই। এসব ফাঁকা বুলি না আওরিয়ে অবিলম্বে আবারও টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, অপরিকল্পিত লকডাউনে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিএনপি ইতোপূর্বে অনেকবারই বলেছে যে, দিন আনে দিন খায় মানুষ, প্রান্তিক মানুষ, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, মাঝি, রিকশা, শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিকসহ সব ধরনের নিম্নআয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা ব্যতীত লকডাউন কখনই কার্যকর হবে না। সেজন্যেই বিএনপি এসব মানুষের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান হিসাবে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলো। সরকার সেদিকে না গিয়ে দলীয় লোকদের ২ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকৃত দুর্গত মানুষের কাছে এই সহযোগিতা পৌঁছাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২১
এমএইচ/এএটি