ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আন্দোলনে ভূমিকা রাখবে নতুন কমিটি: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২১
আন্দোলনে ভূমিকা রাখবে নতুন কমিটি: ফখরুল

ঢাকা: ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরার বাসায় মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই দুটি কমিটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুটোর প্রতি সারাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এরা সবাই পরীক্ষিত নেতা। আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট সেই প্রেক্ষাপটে এটা (নতুন কমিটি গঠন) নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, এই কমিটির মাধ্যমে দেশের রাজনীতির একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে।

তিনি বলেন, আমাদের সবার প্রত্যাশা, অত্যন্ত সক্রিয়, সচল এবং কার্যকরী এই আহ্বায়ক কমিটি অতি দ্রুত দলকে সুসংগঠিত করবে এবং একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করবে।

কবে নাগাদ মহানগরের কাউন্সিল হতে পারে প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের যে গঠনতন্ত্র রয়েছে সেই গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী কাউন্সিল করবে। সেটা তিন মাস।

বর্তমান কমিটি নিয়ে ক্ষোভ আছে যে মূল্যায়ন করা হয়নি- এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি একটা বিশাল রাজনৈতিক দল। সেই দলের যখন একটি কমিটি করা হয় তখন ছোট-খাটো সমস্যা থাকতেই পারে। আমরা যেটা দেখছি, একবারে পরীক্ষিত নেতাদের দিয়েই এই কমিটি করা হয়েছে। প্রবীণ এবং নবীণের সমন্বয়ে করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা কার্যকরী কমিটি হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সোমবার (২ আগস্ট) আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে উত্তরের ৪৭ সদস্য এবং আবদুস সালামের নেতৃত্বে দক্ষিণের ৪৯ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উত্তরের সদস্য সচিব হয়েছেন আমিনুল হক এবং দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু।

ঢাকা মহানগর উত্তরের নতুন আহ্বায়ক ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সেজন্য সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারে।  একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যাতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়, সেই লক্ষ্যকে সফল করার জন্যে আমরা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ একসঙ্গে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে কাজ করবো।

মহানগর দক্ষিণের নতুন আহ্বায়ক ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, আমরা চেষ্টা করবো যাতে এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে। সে ব্যাপারে মহাসচিব থেকে শুরু করে মহানগরসহ দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীর সহযোগিতা চাই। আমরা উত্তর-দক্ষিণ মহানগর এক সঙ্গে সমবেত ভাবে মহানগরীতে কাজ করার চেষ্টা করবো। যাতে কোথাও কোনো গ্যাপ সৃষ্টি না হয়, কোনো ভুল-বুঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।


এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, আবদুল আলীম নকি, তাবিথ আউয়াল, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, আতিকুল ইসলাম মতিন, মোশাররফ হোসেন খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, মহানগর উত্তর যুব দলের এস এম জাহাঙ্গীর, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২১
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।