ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জিয়া নিষ্পাপ হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করলেন কেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২১
‘জিয়া নিষ্পাপ হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করলেন কেন’

ঢাকা: আগস্ট মাস এলেই বিএনপি রক্তাক্ত অতীতের অন্তর্জালা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাক কাকে সেনাপ্রধান করেছিল, জিয়ার ভূমিকা কী ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান যদি এতই নিষ্পাপ হন তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করলেন কেন?

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আজ আষাঢ়ে গল্প ফেঁদেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় নাকি আওয়ামী লীগ জড়িত এবং সরকার নাকি জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছে। বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য অনেকটা ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনি’র মতো।

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব কারা তা এখন জাতির কাছে স্পষ্ট উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারা হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাক কাকে সেনাপ্রধান করেছিল, জিয়ার ভূমিকা কী ছিল, খুনিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কার কাছে রিপোর্ট করেছিল, তখন জিয়ার মন্তব্য কী ছিল? এসব ঐতিহাসিক সত্য বিএনপির নেতারা নতুন করে বাকপটুতায় ধামাচাপা দেওয়ার নির্লজ্জ ব্যর্থ চেষ্টা করছেন, যা করে কোনো লাভ নেই। বিএনপির শিবের গীত জনগণের কাছে এখন পরিষ্কার।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কারা নিরাপদে বিদেশে চলে যেতে সহযোগিতা করেছিল?  কারা পুনর্বাসন ও পুরস্কৃত করেছিল, দূতাবাসে কে চাকরি দিয়েছিল—এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তা না হলে জিয়াউর রহমানকে ধোয়া তুলসি পাতা বানানোর অপচেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না।

রক্তমূল্যে অর্জিত স্বাধীন দেশের সংবিধানে খুনিদের রক্ষায় ইনডেমনিটির বিধান পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে কে সংযোজন করেছিলেন জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান যদি এতই নিষ্পাপ হন তাহলে বিচার বন্ধ করলেন কেন? এতসব প্রশ্নের জবাব নিশ্চয়ই বিএনপি দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে, অথচ সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার একুশ বছর পর্যন্ত আমরা কোনো বিচারই চাইতে পারিনি। বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত জিয়াউর রহমান কেড়ে নিয়েছিলেন। আর এখন মিষ্টি মিষ্টি কথায় নতুন ইতিহাসের প্রলাপ বকছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যাব কেন?  সময়ের ধারাবাহিকতায় চুল-চেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইতিহাসই যার যার স্থান নির্ধারণ করে দেয়। ইতিহাসের ভিলেনকে জোর করে ইতিহাসের নায়ক বানানো যায় না।

এদেশের রাজনীতিতে খুন এবং হত্যাকাণ্ডের চর্চা বিএনপির নিজস্ব পেটেন্ট  উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা এখনো হত্যার রাজনীতি ছাড়তে পারেনি, তার প্রমাণ ১৫ আগস্ট, ৩রা নভেম্বর ও ২১ আগস্ট। বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে হাওয়া ভবন থেকে গ্রেনেড হামলার নির্দেশনা  ও মনিটরিং করে। খালেদা জিয়া সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গিয়েছিলেন! বিএনপি নিজেদের দুর্গন্ধময় ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসুক, যদি তারা সত্যিকার অর্থে এ দেশে সুস্থধারার রাজনীতি করতে চায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২১
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।