নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করা বিএনপির জেলা কিংবা মহানগর কার্যালয় নেই প্রায় ৫৩ মাস ধরে। দীর্ঘ এ সময়ে তারা নেয়নি কোনো অস্থায়ী কার্যালয়।
তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বাসভবনের নিচতলায় মজলুম মিলনায়তনে জেলার কার্যক্রম ও মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের বাসার একটি কক্ষ থেকে মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজস্ব কার্যালয়টি রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন। সেখানে তিনি তার অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে বসে দলীয় বৈঠক ও সভা করেন।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়টি ভেঙে দেওয়া হয়। কার্যালয়টি না ভাঙতে আদালতে মামলা করেছিল বিএনপি। সে মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) জয়ী হয়। বর্তমানে সেখানে বহুতল ভবন তৈরির কাজ চলছে। সেটি সম্পন্ন হলে সেখানে বিএনপির অনুরূপ কার্যালয় বুঝিয়ে দেবে নাসিক।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন জানায়, ২০১৩ সালের মার্চে জেলা বিএনপির কার্যালয় ও ভবনের নিচতলায় অবস্থিত দোকান মালিকদের বলা হয়েছিলো সেখানে নয় তলাবিশিষ্ট মার্কেট করা হবে। ভবনের নিচতলায় যাদের দোকান ছিল তাদের নতুন ভবনে একই রকম দোকান দেওয়া হবে।
এছাড়া দ্বিতীয় তলায় থাকা জেলা বিএনপির কার্যালয়টিও অনুরূপ আকৃতির করে দেওয়া হবে। কারণ বিএনপি কার্যালয় ও দোকান মালিকরা আগেই পজিশন কিনে নিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি তো হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলাম এ কার্যালয়ের জন্য। এখন মজলুম মিলনায়তনে অস্থায়ীভাবে চলছে বিএনপির কার্যক্রম। দ্রুত সিটি করপোরেশন আমাদের কার্যালয়টি বুঝিয়ে দেবে প্রত্যাশা করছি। এ ব্যাপারে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তবে নেতাকর্মীরা চাইলে আমরা বড় পরিসরে একটি অস্থায়ী কার্যালয় নিতে পারি।
নরায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল জানান, আপাতত অস্থায়ী কার্যালয় আমরা নিয়েছি কালির বাজারে। সেখান থেকে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২১
আরআইএস