ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আমরা চাতক পাখির মতো ঘুরেছি: নানক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২১
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আমরা চাতক পাখির মতো ঘুরেছি: নানক

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আমরা ঘুরে বেড়িয়েছি চাতক পাখির মতো।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যে থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের আজ পর্যন্ত মুখোশ উন্মোচন করা হয়নি বলেই এক এগারোর অঘটনের সময়ও শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আমরা যখন ঘুরে বেড়িয়েছি চাতক পাখির মতো। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের আহ্বানের প্রত্যাশায়। তখন প্রতিবাদের আহ্বান আসেনি। অনেক কথা বলার সময় এখনো আসেনি। তাই অনেক কথা বলা যাবে না।

তিনি বলেন, সেদিন কে যে কাক আর কে কোকিল কে আমাদের পক্ষে আর কে আমাদের বিপক্ষে খুনি মোশতাক যখন বঙ্গবভনে সংসদ সদস্যদের ডাকল আমরা এমপিদের বাড়িতে বাড়িতে চিঠি নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়েছি। বঙ্গভবনে মোশতাকের ওই সংসদীয় সভায় উপস্থিত হওয়া যাবে না। তারপরও কিন্তু অনেকেই সেই সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। বিভ্রান্ত করা হলো দেশের মানুষকে। বিভ্রান্ত করা হলো বিশ্ববাসীকে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার দুই তৃতীয়াংশ মন্ত্রী সেদিন খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা একটু প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলাম। বাঙালি একটি প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিল। সেদিন নেতৃত্বের দুর্বলতা নয়, নেতৃত্বের কাপুরুষতা নয়, নেতৃত্বের ভীরুতা নয় নেতৃত্বের আত্মসমর্পণের কারণে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে, ওই খুনি শাহরিয়ার নূর ডালিম রশিদসহ খুনি মোশতাকদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরে প্রতিরোধ গড়তে পারিনি।

নানক বলেন, ১৫ আগস্টে দৃশ্যমান যারা খুনি সেই দৃশ্যমান খুনিদের আমরা চিনেছি মাত্র। কিন্তু অদৃশ্যমান যারা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে তাদের আজ পর্যন্ত বের করা হয়নি। তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হয়নি। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। আর তাদের উন্মোচন করি নাই বলে একএগারোর অঘটনের ঘটনা পটিয়সীদের সময়ও শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, আমরা তাদেরও চিহ্নিত করতে পারিনি।

মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি শামসুন নাহার।  

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী সভা পরিচালনা করেন।

বাংলাদোশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২১
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।