ঢাকা: রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর চন্দ্রিমা উদ্যানে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বিএনপির দুই নেতাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তারা হলেন-তেজগাঁও থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান টগর (৪৮) ও কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (৬২)।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় তারা আহত হন। পরে তাদের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিয়াজী বলেন, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে যান কয়েক হাজার নেতাকর্মী। সেখানে তাদের ওপর পুলিশ অতর্কিত আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। এতে টগরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। এছাড়া আরও অনেক নেতাকর্মী শটগানের গুলিতে আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঢামেকের আবাসিক চিকিৎসক আলাউদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, আহতাবস্থায় দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, টগর নামে ব্যক্তিকে নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শেরে-বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছু উশৃঙ্খল যুবক চন্দ্রিমা উদ্যানের বাণিজ্যমেলার মাঠের দিক থেকে দেওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ও তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে তাদের ধাওয়া করে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২১
এজেডএস/এএটি