ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি মানচিত্র, স্বাধীন ভূখণ্ড ও একটি লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছে জাতি, পেয়েছি একটি শিক্ষা দিবস। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দিবসটি এখন আর কেউ স্মরণ করে না।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা দিবস উপলক্ষে হাইকোর্ট মোড়ে শিক্ষা চত্বরে বাংলাদেশ ন্যাপের পক্ষ থেকে ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোস্তফা বলেন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অথচ সেই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবেও পালন করা হয় না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষা ও ছাত্র আন্দোলনের তাৎপর্যপূর্ণ এ ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই ইতিহাসের এ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের কথা অজানা। তারা বঞ্চিত এর তাৎপর্য অনুধাবন থেকে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, শিক্ষা দিবসের ৫৯ বছর পরও ছাত্রসমাজের সার্বজনীন শিক্ষার যে আকাঙ্ক্ষা, তা আজও পূরণ হয়নি। কিছুটা সংশোধন হলেও সেই ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আমলে কেরানি কর্তৃক নির্মিত শিক্ষাব্যবস্থা এখনও বহাল আছে। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। ১৯৬২ সালের এ দিনটিকে স্মরণ করে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈরাজ্যকর অবস্থার বিরুদ্ধে দেশেপ্রেমিক জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরশাসক আইয়ুব খান গঠিত শিক্ষা কমিশনের শিক্ষানীতি তথা শিক্ষা সংকোচন নীতির প্রতিবাদে তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। ছাত্রদের ডাকা হরতালে পুশিলের দফায় দফায় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ হন গোলাম মোস্তফা, বাবুল ও ওয়াজিউল্লাহ। সেই থেকে ছাত্রসমাজ দিনটিকে সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।