ঢাকা: বাতাসে গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে, খালেদা জিয়া মারা গেলে বিএনপি কী পরিস্থিতি তৈরি করবে, কীভাবে একটা গণঅভ্যুত্থান তৈরি করবে—সেই পরিকল্পনার নীলনকশা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও দলীয় কর্মসূচি নির্ধারণ উপলক্ষে বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডলির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা মহানগরের দলীয় সংসদ সদস্যদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মারা গেলে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রভাব পরবে কি পরবে না? খালেদা জিয়ার মৃত্যু হওয়ার আগেই কেন তার মৃত্যু কামনা করছেন! আমরা তো তার মৃত্যু কামনা করছি না। আমরা চাই তিনি আরোগ্য লাভ করুক এবং তার মৃত্যুর ব্যাপারে যেভাবে আগে থেকেই বলা হচ্ছে, এটা তো মনে হয় তারাও চাইছেন যে, খালেদা জিয়ার মৃত্যুটা হোক। আমরা যেটা শুনতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে গুজব যে, বিএনপি খালেদা জিয়া মরলে কী পরিস্থিতি তৈরি করবে? কীভাবে একটা গণঅভ্যুত্থান তৈরি করবে? সেই পরিকল্পনার নীলনকশা তারা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে ওই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে তারেক জিয়াকে টেমস নদীর ওপার থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে খোমেনী স্টাইলে বিপ্লব করার দুঃস্বপ্ন দেখছে। একথা ভেসে বেড়াচ্ছে, এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজকে আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা এবং সামনে বিদেশি মেহমানরা আসবে—এই সময়ে একটা অশুভ পরিস্থিতি তৈরি করার প্রাণান্তকর অপপ্রয়াস আমরা লক্ষ্য করছি। এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময়। আমরা রাজপথে থাকব, আমরা মোকাবিলা করব আমরা যেকোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আন্দোলনকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত হয়, যেটা তাদের অতীতের অভ্যাস। অতীতেও জ্বালাও-পোড়াও করেছে, বাস পুড়িয়েছে, ভূমি অফিস জ্বালিয়েছে, শত শত মানুষকে পেট্রোল বোমা-আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে হত্যা করেছে সেই ইতিহাস কিন্তু বেশি দূরের নয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটা ঐতিহাসিক আয়োজন করতে পারব। এটা শুধু রাজধানীতে না, সারা দেশেই পালন করতে হবে এই উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য কালারফুল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।
ওবাদুল কাদের বলেন, বিএনপি আজকে বিভিন্নভাবে সামাজিক আন্দোলনকে উসকানি দিচ্ছে। তারা গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের পেছনে মদদ দিচ্ছে মাঠে নামার। তারা আজকে বিভিন্নভাবে সহিংসতা বিশৃঙ্খলার আবর্ত তৈরি করার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২১
এসকে/জেএইচটি