বরিশাল: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপি নেতারা অপরাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানববতার মা, তিনি মানবতাবাদী, মানুষকে ভালোবাসেন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির সাফল্যের ২৪ বছর উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাছিম বলেন, স্বাধীনতার ২১ বছর পরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে পাহাড়ে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ় সংকল্প, পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে একটি কাজে হাত দিলেন। যে কাজটি সুচারু রূপে দক্ষতার সঙ্গে, সততার সঙ্গে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য দায়িত্ব ন্যস্ত করেছিলেন বরিশালের গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। সেদিন তার ওপরে অনেক ধরনের হুমকি ছিল। দায়িত্ব পালনে পদে পদে ষড়যন্ত্র, বাধা, জীবনের হুমকি, চরিত্র হনন, প্রলোভন ছিল।
২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির সাফল্যের ২৪ বছর উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলো পাকিস্তানের আইএসআই এর গোয়েন্দা সংস্থারা। যাতে বাংলাদেশের শান্তি ফিরে না আসে, পাহাড়ের শান্তি যাতে ফিরে না আসে। সেই কঠিন সময়, সেই লোভকে সংবরণ করে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি ২৪ বছর আগে আজকের এই দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাক্ষরিত হয়েছিল। যে চুক্তির মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের কোন বিচ্ছিন্ন এলাকা নয়, অবিচ্ছেদ্য এলাকা। আজ পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে, সংঘাত, হানাহানি, খুনোখুনি নেই, লুটতরাজ নেই। আজ পাহাড়ে মানুষ শান্তিতে বেড়াতে যেতে পারে। সেখানে উন্নয়নের কর্মকাণ্ড চলছে।
তিনি বলেন, যেদিন পাহাড়ে শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল, তারপরে বিএনপি-জামাতিরা বিরোধী দলে থেকে বলেছিল- পাহাড়ে যদি শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হয়, শান্তি ফিরে আসার কোন ধরনের অপচেষ্টা চালানো হয় তার মানে হবে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ভারতের কাছে চলে যাবে। এমনকি ভারতের পতাকা বানিয়ে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনসহ চট্টগ্রামের একাংশে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। যাতে বাংলাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিলো তা ব্যাহত করার চক্রান্ত হয়েছিলো।
তিনি বলেন, এই অপশক্তি বাংলাদেশের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে না। তারা বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, তা চায়না। তারা বাঙ্গালি এবং পাহাড়ির নামে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল। তারা সেদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে যার ওপর দায়িত্ব ছিল, সেই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করেছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করেনি ওই পাকিস্তানি প্রেতাত্মা আইএসআইয়ের এজেন্ট বিএনপি-জামাতরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমনিভাবে বিরোধিতা করেছিলো, হাজার হাজার লাখো শহীদের রক্তে রক্তাক্ত করেছিলো সেই খুনির দলের জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, ওই খুনির দলেরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জাতির জনকের সুযোগ্য সন্তান শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। এরা এখনও বাংলাদেশে খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, নির্বাচনে
তিনি বলেন, আজ বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ আমরা তার মৃত্যু কামনা করি না। আমরা চাই তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। তিনি দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। কি কি কারনে তার সাজা হয়েছে সবাই জানেন।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায়, যারা হিন্দু-মুসলমানের ভেতরে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় এখন তারাই আবার খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এমএস/এনএইচআর