ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণফোরামের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ১৩ দফা কর্মসূচি গৃহীত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
গণফোরামের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ১৩ দফা কর্মসূচি গৃহীত

ঢাকা: গণফোরামের একাংশের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল গত ৩ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে ১৩দফা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

দফাগুলো হলো-

১. জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অবিলম্বে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা।

২. গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ভবিষ্যতে নির্বাচনগুলো নিরঙ্কুশ ও সুষ্ঠু করতে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মধ্যরাতে ভোট-ডাকাতির তদন্তপূর্বক অপরাধীদের দ্রুত ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা।

৩. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিশ্বমান অর্জন ও সকলের জন্য সহজলভ্য করা এবং সেবাদানকারীদের উচ্চতর মর্যাদা প্রদান।

৪. সব দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের বিচারের আওতায় এনে লুণ্ঠিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করে জনকল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

৫. সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

৬. দ্রুত কর্মসংস্থান, আত্ম কর্মসংস্থান ও নতুন নতুন উদ্যোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান, সামরিক/পুলিশ বিভাগ ব্যতীত চাকরির বয়সসীমা বিলুপ্ত করা।

৭. ধনী ও গরিবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য হ্রাস,  সবার নূন্যতম মাসিক বেতন ১৬ হাজার টাকা করা।

৮. ব্যাংক ও শেয়ার বাজার লুণ্ঠনকারী, ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা; অর্থ-ব্যবস্থাপনা খাতে কঠোর শৃঙ্খলা আনয়ন করা।

৯. রাজনৈতিক বিবেচনায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাসমূহ প্রত্যাহার করা ও সব রাজবন্দীর মুক্তি দেওয়া।

১০. প্রশাসনের সব স্তরে দলীয়করণ নির্মূল করা; নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতির একমাত্র শর্ত হবে তদবিরমুক্ত প্রতিযোগিতা, মেধা ও যোগ্যতা।

১১. নারী নির্যাতন, হত্যা-ধর্ষণ ও সব সামাজিক অপরাধ কার্যকরভাবে দমন, নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

১২. নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা এবং পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ও যুগান্তকারী ব্যবস্থা গ্রহণ।

১৩. কৃষি, মৎস্য, উদ্যান, গবাদিপশু উন্নয়ন ও খাদ্যে ভেজাল নির্মূলের জন্য রাসায়নিক, কীটনাশক ইত্যাদির ব্যবহারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উন্নয়ন, জলবায়ু ও পরিবেশ বান্ধব দেশ গড়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
এমএইচ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।