ঢাকা: বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ছয়জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণতান্ত্রিক সম্মেলন হয়ে গেল। সেই সম্মেলনে বাংলাদেশকে ডাকা হয়নি। এরপর আমরা দেখলাম, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছয়জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তারা নয়, তাদের সন্তানদেরকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে লেখাপড়া করার ক্ষেত্রে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি মন্ত্রণালয়ও (অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা-ও বাজেয়াপ্ত হবে। এর জন্য দায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আপনার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আজকের পুলিশপ্রধান ২০১৪-১৫ সালে বলেছিলেন, তোমাদের হাতে বন্দুক দেওয়া হয়েছে, পকেটে গুলি দেওয়া হয়েছে কি পকেটে রাখার জন্য? অর্থাৎ দেশের বিরোধী দলের নেতাদের বুক গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলো তারা তো আপনাদের মতো চোখ বন্ধ করে নেই। তারা জানে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে। তারা জানে, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরু নেই কেন—এটার সাথে জড়িত কারা। একটা কথা মনে রাখা উচিত, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয়ে যায় না।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-আল রশিদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব ডা. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কাদের গনি চৌধুরী, আবেদ রাজা, ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আব্দুস সেলিম, সহসভাপতি ডা. শহীদ হাসান, ডা. সিরাজ, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান, যুগ্ম মহাসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এমএইচ/জেএইচটি