ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অভিযোগ অস্বীকারের আত্মতৃপ্তি রাষ্ট্রকে ঝুঁকিতে ফেলেছে: রব 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
অভিযোগ অস্বীকারের আত্মতৃপ্তি রাষ্ট্রকে ঝুঁকিতে ফেলেছে: রব  আ স ম আবদুর রব

ঢাকা: জাতিসংঘ, দাতা দেশ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর উত্থাপিত বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সব অভিযোগ অস্বীকারে সরকারের আত্মতৃপ্তির অপকৌশল গ্রহণ করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের নিদারুণ হাহাকারে সরকার মানবিক সহায়তা না দিয়ে নতুন করে তথ্য জানতে চাওয়ার মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যা বিপর্যস্ত পরিবারগুলোকে আরও ভয়ংক বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আ স ম আবদুর রব বলেন, এর মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও জোরপূর্বক গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলা করার কোনো অভিপ্রায়ই সরকারের নেই তা প্রমাণিত হয়েছে। বরং সরকার অন্যায়কে ধামাচাপা দেওয়ার নতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকা এসব ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা ও অন্যায়ে জড়িতদের চিহ্নিত করার পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অপতৎপরতার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানকে উপেক্ষা করা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।

আ স ম রব বলেন, গুমের শিকার এসব পরিবার দিনের পর দিন স্বজনদের ফেরার প্রতীক্ষায় রয়েছেন, প্রতিটি মুহূর্ত তারা নানা নিরাপত্তাহীনতা আর ভীতির মধ্যে রয়েছেন, এই অবস্থায় মানবিক সহায়তার বদলে তথ্য সংগ্রহের নামে তাদের বাস্তবতাকে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, নাগরিকদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার অব্যাহতভাবে খর্ব করার তৎপরতা রাষ্ট্রকে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলেছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার বা খারিজ না করে সেগুলো আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ সরকারের জরুরি কর্তব্য।  

এই নেতা বলেন, সুতরাং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নাগরিকের জীবন সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের উচিত অবিলম্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমগ্র প্রক্রিয়া বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এমএইচ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।