ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঘরে বসে থাকলে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবে: শওকত মাহমুদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
ঘরে বসে থাকলে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবে: শওকত মাহমুদ

ঢাকা: সব পেশাজীবীকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেছেন, যেসব পেশাজীবী ঘরে বসে মনে করেন সরকার পড়ে যাবে তারপর বের হবেন তারা কিন্তু রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবেন। যদি রাজপথের আন্দোলনের আপনারা না আসেন তাহলে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিটির সাবেক সভাপতি ও ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

শওকত মাহমুদ বলেন, যেমনিভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর, আলবদর, আল শামস আমরা শনাক্ত করেছিলাম, তেমনিভাবে আমরা আপনাদেরও চিহ্নিত করবো। শেখ হাসিনার এ হানাদার সরকারকে আমরা বিদায় করবোই। প্রেসক্লাবসহ সব পেশাজীবী নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামী সপ্তাহে আমরা কর্মসূচি পালন করবো। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা দেখতে চাই তাজমেরী ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা। তাকে যদি মুক্তি না দেওয়া হয় তাহলে রাজপথে আমাদের আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। সেই আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হবে।

তিনি বলেন, আজকে পেশাজীবীদের ভয় দেখানোর জন্য তাজমেরী ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা পেশাজীবীরা কোনোভাবেই পেছনে হটবো না। আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। প্রয়োজনে আমরা পেশাজীবীরা এ সরকারের দালালদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা দেব। সরকারকে লকডাউন দিয়ে আটকে ফেলবো।

বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ সাংবাদিক নেতা বলেন, যদি আপনারা আইনের শাসন অনুযায়ী কাজ না করেন তাহলে জনগণের রোষণল থেকে আপনারাও বাঁচতে পারবেন না।  

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি এ সরকার চূড়ান্ত পতনের আগে বিভিন্ন দেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাঁচার চেষ্টা করছে। লবিস্ট নিয়োগ করে কোনো লাভ হবে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজকে যেভাবে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ব বিবেক যেভাগে জাগ্রত হয়েছে। আপনারা পারবেন না বিশ্ব বিবেক এবং বাংলাদেশের জনগণের বিবেককে দাবিয়ে রাখতে।

শওকত মাহমুদ বলেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সার্বক্ষণিক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকায় মানববন্ধনে আসতে পারেননি। এছাড়া প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনিও মানববন্ধনে যোগ দিতে পারেননি।

শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ ফারুক, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কৃষিবিদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল হাসান হারুন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহানারা খাতুন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।