ঢাকা: দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও সমমনা ১৪টি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
শনিবার (২৮ মে) মুসলিম লীগের পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৪টি দলের এক আনুষ্ঠানিক সভায় এমন মতামত দেওয়া হয়।
সভায় নেতারা বলেন, জনগণ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচন দেখেছে। ২০১৪ সালে অধিকাংশ বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে দেখেছে, ১৫৩জনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অভূতপূর্ব নজির। ক্ষমতাসীনদের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস আর নির্বাচন কমিশনের উপর বিশ্বাস রেখে ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পেয়েছে কারচুপির নতুন সংস্করণ মধ্যরাতের ভোট।
তারা বলেন, আলোচিত দুটি নির্বাচনের মাধ্যমে এ কথা আজ প্রমাণিত সত্য যে, বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জন আর অংশগ্রহণমূলক যাই হোক না কেন- ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বক্তারা বলেন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সময়ের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ চরম ভাবে পরাজয় বরণ করেও ক্ষমতাসীন থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার নজীর রেখে গেছে। পরবর্তীতে দেশের ইতিহাসে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার উদাহরণ আর একটিও নেই। ১৯৭২ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে দল-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোই এখন পর্যন্ত সবচাইতে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু ছিল বলে দেশের আপামর জনগণ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে।
জনগণের বিশ্বাসের সঙ্গে একমত পোষণ করে সভায় নেতারা বলেন, দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতিয় নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই।
সভায় মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান খন্দকার দেলোয়ার, বাংলাদেশ আইডিয়াল পার্টির চেয়ারম্যান কেএম ইব্রাহিম খলিল, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক ড. এ. আর খান, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান হাম্মাদুল্লাহ মেহেদী, মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন, রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান আমিনী, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির সভাপতি আহছানউল্ল্যাহ শামীম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন-উর রশীদ, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কার্যনির্বাহী সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার, বিএলডিপির ভাইস চেয়ারম্যান কবির হোসেন, গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব শওকত হোসেন, কল্যাণ পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রীস আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
এমএইচ/এসএ