ঢাকা: দাতা গোষ্ঠীর শর্ত বাস্তবায়নের স্বার্থেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
শনিবার (৬ আগস্ট) পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
জ্বালানি তেলের মূল্য সহনীয় মাত্রায় বাড়ানোর কথা বলে রাতের বেলায় পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম প্রায় ৪৫ শতাংশ বাড়ানোকে অযৌক্তিক ও জনগণের প্রতি সংবেদনহীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ বলে অভিমত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে বলা হয়, এমনিতেই মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে ত্রাহী অবস্থা, তার ওপর এ মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে কঠিন সংকট তৈরি করবে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাত পড়বে কৃষি, পরিবহন ও দৈনিন্দন জীবনে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বে যখন জ্বালানি পণ্যের মূল্য কমছে তখন এ মূল্যবৃদ্ধি কার স্বার্থে? বস্তুত সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে যে ঋণ চাইছে তাদের সেই শর্ত পূরণের জন্যই জ্বালানি খাতের ভর্তুকি প্রত্যাহারের কৌশলী ব্যবস্থা হিসেবে এ মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে জনগণের ওপর দায় চাপানো হলো। এ বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ‘অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই দাম কিছুটা সমন্বয় করা ও প্রতিবেশী দেশে তেল পাচারের আশঙ্কার’ যে কল্পিত গল্প সাজিয়েছেন, তা জনগণকে বিভ্রান্ত করার নামান্তর মাত্র।
দেশের মুদ্রা ঘাটতি সমন্বয় করতে গিয়ে দাতা গোষ্ঠীর শর্ত বাস্তবায়নে জনগণের ওপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো বিবেচনা প্রসূত নয় এবং জ্বালানিখাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও অপচয় রোধ করে ঘাটতি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয় বিবৃতিতে।
পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে সমন্বয়ের নামে জ্বালানি তেলের অচিন্তনীয় ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
আরকেআর/এসএ