ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর মনের ইচ্ছার প্রতিধ্বনিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর মনের ইচ্ছার প্রতিধ্বনিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য: রিজভী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর মনের ইচ্ছার প্রতিধ্বনিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও জ্বালানি তেল এবং নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধি ও ভোলায়  পুলিশের গুলিতে  ছাত্রদল নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহতের প্রতিবাদে ইউনিভার্সিটি  টিচার্স  অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখপাত্র হচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এত বড় কথা বললেন, আর বলবেনই না কেন? একজন রসিক মানুষ আমাকে বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে পড়েছেন। দেশের এত লুটপাট করে স্বর্গে বসে তিনি মনে করছেন সবাই স্বর্গে আছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাদের তৈরি করা নরকে আছে দেশের জনগণ। আর তারা বেহেশতে থেকে এসব বুঝবে কেমনে? বেহেশতে তো হুরপরি থাকে। তাদের আবদ্ধে থেকে তারা তো আবোল তাবোল বলবেনই।

সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আজ যারা এই দুঃসময়ে টকশোতে বসে স্বাধীনতার চেতনার নামে সরকারের গুণগান গায়, ভুয়া নির্বাচন, অসংখ্য বিচার বহির্ভূত হত্যা, একজন সংসদ সদস্যসহ অসংখ্য গুম, এতকিছুর পরও এসব বুদ্ধিজীবী সরকারের গুণগান গায় তাদেরকে বলবেন, এত যে ঘটনা ঘটাচ্ছে এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কী? তারা বলবে না। কারণ তারাও গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ভুয়া নির্বাচন এসবের সমর্থনকারী।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে তারা গণতন্ত্র চর্চা করেছে। আমার বিশ্বাস তারা সেই ভুল করবেন না। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে সুজাতা সিংকে পাঠিয়েছিল নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার পক্ষে এরশাদকে রাজি করানোর জন্য। সারা বিশ্ব এটা দেখেছে। এতে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের মান কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বেয়াকুব মোমেন নিজেদের স্বার্থে সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে পারে। তারা সবকিছুই করতে পারে। এর আর একটা কারণ আছে, এই মোমেন সাহেব ছাত্রাবস্থায় আইয়ুব খানের ছাত্র সংগঠন করতেন। তিনি অখণ্ড পাকিস্তানে বিশ্বাস করতেন। এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তার অতীতের যে নীতি তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নীতি মেলে না। তাই আওয়ামী লীগের নীতি বেশি করে প্রচার করার জন্য এবং নিজেকে বড় আওয়ামী লীগার করার জন্য এসব কথা বলছেন।

তাদের এক মন্ত্রী বলেছেন এটা দলের না, ব্যক্তিগত বক্তব্য। কীসের ব্যক্তিগত বক্তব্য? আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একের পর এক ফাউল কথা বলে যাচ্ছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রকে তলানিতে নিয়ে যাচ্ছেন, আর আপনারা বলছেন ব্যক্তিগত। তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। কিন্তু আপনারা তা করছেন না। কারণ তাকে আপনাদের দরকার আছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে এক অশনিও সংকেত মনে হচ্ছে। এবার আওয়ামী লীগ খুব খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছে। আমাদের শক্তির উৎস হচ্ছে দেশের জনগণ। এর আগে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া বলেছেন, এখন বলছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। তাই এদেশের সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা এক একজন সৈনিক।

ইউট্যাবের সভাপতি এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোরশেদ হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এমএইচেএমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।