নরসিংদী: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নরসিংদীতে প্রকাশ্যে সাবেক ইউপি মেম্বার সুজিত সূত্রধরকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামিন নামঞ্জুর করে হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফসুফ খান পিন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছেনে আদালত।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোস্তাক আহাম্মেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক পিন্টু ও তার ভাইয়ের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ইউসুফ খান পিন্টু হাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলগের সভাপতি ও হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়াম্যান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত সুজিত ইউপি সদস্য থাকার সময়ের পরিষদের চাল ও গম বিতরণে অনিয়মসহ নানা বিষয় নিয়ে সুজিতের সঙ্গে হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুর বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে পিন্টুর নামে একাধিক মামলা করেন সুজিত। মামলার জের ধরে সুজিতের ওপর একাধিক বার হামলার ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে গত ২২ জুন সন্ধ্যার পর সুজিত সূত্রধর বাড়ি থেকে হাজিপুর কাঠবাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। রাত ৮টার দিকে পিন্টুর ভাই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুজিতকে কোপাতে থাকে। এসময় ঠেকাতে গেলে সুজিতের ছেলে সুজন ও দোকানের কর্মচারীদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহত সুজিতকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফসুফ খান পিন্টুকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে সুজন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে পিন্টু ও তার ভাই মনিরুজ্জামান খানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী সুজন বলেন, জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর এজলাস থেকে বের হয়েই ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মনিরুজ্জামান খান আমাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ও আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
এসআই