ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ডেপুটি স্পিকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
ডেপুটি স্পিকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

পাবনা: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নিযুক্ত হওয়ায় পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল আজ। দুপুরে এ অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে জড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল দুপুর ১২টায়।

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবুর সঞ্চালনায় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর বক্তব্য শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর কয়েক মিনিট আগে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনের দিকে দাঁড়ানো ও স্লোগান দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপে বাক বিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির শুরু হয়। যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রথম দিকে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে চেয়ার ছুড়ে মারছিল। এ সময় কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিছুক্ষণ পর আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন নেতা সংঘর্ষকারীদের থামাতে চেষ্টা করেন। মাইকে দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে সতর্ক করা হয়।   কিন্তু কোনো পক্ষই তার শোনেনি।

সংঘর্ষ বড় ঘটনায় রূপ নেওয়ার আগে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কয়েকজনকে আটক করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনার কারণ বড় কিছু নয়। প্যান্ডেলের পেছনের দিকে দাঁড়ানো ও ঢোল বাজানো নিয়ে দলের ছেলেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তাছাড়া অন্য কিছু নয়। পরে শান্ত হয়ে যায় এবং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি তারপরে একে অপরকে চেয়ার তুলে মারা শুরু করে নেতাকর্মীরা। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমনটা হয়েছিল। পরে সিনিয়রর নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ বিষয়ে পাবনার সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনে দাঁড়ানো ও স্লোগান নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল। পরে নেতারাই তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অনুষ্ঠানে নিরপত্তা থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য তেমন কাউকে আমরা ঝামেলা করতে দেখিনি। ছোট ছেলেপেলের মধ্যে ঝামেলা।

এ ঘটনায় ১০ জন আহত হওয়ার কথা জানা যায়। কিন্তু এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।