ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে: ফখরুল

ঢাকা: সব ধর্ম-বর্ণের অধিকার রক্ষা করে অসাম্প্রদায়িক ও জনগণের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২ অক্টোবর)  সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

এসময় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে- আসুন আমরা ভবিষ্যৎ ও তরুণ প্রজন্মের জন্য বাস উপযোগী বাংলাদেশ উপহার দেই।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। তখন লক্ষ্য ছিল যে, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং এ রাষ্ট্রকে একটি নতুন ভূখণ্ড তৈরি করে একটি গণতান্ত্রিক ও মুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো।  

যেখানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে মিশে থাকবো। সবার অধিকার এখানে প্রতিষ্ঠিত হবে। মোটা কাপড়, মোটা ভাত খেয়ে মাথার ওপর একটা ছাদ নিয়ে সবাই মিলে আমরা একটি সুখী সমৃদ্ধির সমাজ গড়ে তুলবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, আমরা কি সত্যিকার অর্থেই এ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? সম্ভবত না। সত্যিকার অর্থেই আমরা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার রক্ষার বাংলাদেশ দেখতে চাই। সর্বোপরি একটি সুখী-সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখতে চাই। আজকে এ উৎসবের দিনে সবাইকে সবাইকে শুভেচ্ছা।

তিনি বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষ একই বৃন্তে নতুন ফুলের মতো প্রস্ফুটিত ও বিকশিত হয়েছি। বাস করেছি মিলে মিশে। আমরা সেই সমাজ ও দেশকে নষ্ট হতে দেব না। আমাদের এখন বয়স হয়ে গেছে। আমরা যাওয়ার পথে। আজকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তরুণ ও যুবক সমাজের দায়িত্ব অনেক বেশি। সবার অধিকারকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আপনাদের উৎসবের দিনে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমি আমার শৈশবে পূজামণ্ডপে নাটকও করেছি। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে বিজয়ার আনন্দ উপভোগ করেছি। যা আমার চেতনার সঙ্গে লালন করেছি। ঠিক একইভাবে আমার দলও একই কথা বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল অসত্যকে পরাজিত করার জন্য। অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। আজকে আমাদেরকে একইভাবে অসত্য, অন্যায় ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
এমএইচ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।