নোয়াখালী: নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনার ৫ বছর পর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াস শরীফসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্প বেগম।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে মামলাটির আবেদন করেন তিনি।
বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
মামলার বাদী বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নিহত হুদা মো. আলমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুস্পা বেগম (৩৫)।
মামলায় আসামি করা হয়- নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াস শরীফ (বর্তমানে ডিআইজি), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ এবং ওই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুদা মো. আলমকে বিভিন্ন মামলার আসামি বলে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওই রাতে ওসি বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য দেন। তবে রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্য অস্ত্র উদ্ধারের নামে গ্রেফতার হুদা মো. আলমকে হিংসার বশবর্তী হয়ে দাসপাড়া গ্রামে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে। পর দিন হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবার সেসময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে। তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস ও সাইফুর রহমান প্রামাণিক।
এসময় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২২
আরএ