ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কে ক্ষমতায় যাবে তা আল্লাহ জানেন: ওবায়দুল কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
কে ক্ষমতায় যাবে তা আল্লাহ জানেন: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কয়েকটি সমাবেশ করেই যদি সরকার পড়ে যাবে বলে মনে করে থাকেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ক্ষমতায় কে যাবে তা কেবল আল্লাহ ও দেশের জনগণ জানেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নিজ বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জলের স্রোতে ভেসে আসা কোনো দল নয়। এ দেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে প্রথিত আওয়ামী লীগের শেকড়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় বিএনপি আরেকটি ১/১১ সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনো হবে না।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না তা একমাত্র আল্লাহ ও দেশের জনগণ জানেন। আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, জনগণের আস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের মানুষ চাইলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে, না চাইলে করবে না। এ সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোনো বিষয় নয়। জনগণের কল্যাণে কাজ করলে তারা কখনো কাউকে বিমুখ করে না। আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে আসছে। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র, হত্যা, আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে বিএনপি।

বিএনপিকে একটি অকৃতজ্ঞ দল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের নেত্রীকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত করে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই মানবিকতা ও কৃতজ্ঞতাবোধও তাদের নেই। বিএনপি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে। সরকার যে কাজই করুক বিচার-বিবেচনা না করে বিএনপি অন্ধ সমালোচনা শুরু করে। দুনিয়ার কোথাও যা নেই তা নিয়ে কেন বিএনপি অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করে? সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো। জনগণের জন্য রাজনীতি করলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।

বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় সবার পদত্যাগ ও গণতন্ত্রের কথা বলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, যাদের দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে? যদি পদত্যাগ করতেই হয় তাহলে আন্দোলন ও নির্বাচনে টানা ব্যর্থতার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই সবার আগে পদত্যাগ করা উচিত। বিএনপি মহাসচিব বিনা সম্মেলনে কয় বছর ধরে দলের মহাসচিব পদে বসে আছেন। বিএনপির সম্মেলন কবে হয়েছে ফখরুল সাহেবের হয়তো তাও জানা নেই।

আমার নাকি পদত্যাগ করা উচিত! মির্জা ফখরুল ইসলাম এ দাবি করেছেন। কিন্তু আপনারা আগে বাস্তবতা অনুধাবন করতে শিখুন। দেশে আমার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কত মেগা প্রকল্প হয়েছে জানুন। এদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। একথা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। কিন্তু বিএনপি জেনেও না জানার ভান করছে। আমি বিআরটি প্রকল্পের বাস্তবতা তুলে ধরেছি। সত্যকে স্বীকার করার সৎ সাহস আমাদের আছে। মন্ত্রী হিসেবে আমি বা আমরা বসে নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।