ঢাকা: রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে একে অপরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটি।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পাল্টপাল্টি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সুন্দরবনের জন্য হুমকি কি না’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে মুক্তচিন্তা ফোরাম।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে বলে সরকার কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এ কেন্দ্রটি স্থাপনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এতে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না-তা বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণের পর কাজ শুরু করা হবে।
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আনু মুহাম্মদ বলেন, যদি প্রমাণ করতে পারি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে, তবে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে?
তাজুল ইসলাম পাল্টা জবাবে বলেন, ক্ষতির বিষয়টা যদি পরিবেশবিদরা প্রমাণ করতে পারে তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ বলেন, বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে, থাকবে। তাই বলে সুন্দরবনকে ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না। প্রয়োজনে দেশের অন্য কোনো জায়গায় এই কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাবি’র টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শফিউল আলম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতিবিদ ড. এমএম আকাশ, বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক বিজয় শংকর তাম্রাকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৪