ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পুরনো প্ল্যান্ট রি-পাওয়ারিংয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৪
পুরনো প্ল্যান্ট রি-পাওয়ারিংয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি

ঢাকা: পুরনো বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো রি-পাওয়ারিং বা পুনঃবিদ্যুতায়ন করলে গ্যাসের সাশ্রয় ও উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছে সরকার।

এ জন্য ইতোমধ্যে চারটি প্ল্যান্টে পুনঃবিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হয়েছে।

আরো দুটি প্ল্যান্ট এই কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তবে গ্যাসচালিত স্টিম বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো প্রায় ২০ বছর আগে থেকে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হতে শুরু করে। বর্তমানে এর অধিকাংশেরই লাইফটাইম (সময়সীমা) শেষ হয়েছে। আর উৎপাদনও মারাত্মকভাবে কমে এসেছে। ফলে, রি-পাওয়ারিং জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ, বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও এখনো যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ইতোমধ্যে সরকার ঘোড়াশাল-৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট রি-পাওয়ারিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোড়াশাল-৪ বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে অর্থায়ন করছে, বিশ্বব্যাংক।

তিন নম্বর বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটিতে ইতোমধ্যে রি-পাওয়ারিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আর ৬ নম্বর প্ল্যান্টের রি-পাওয়ারিংয়ের বিষয়টি মূল্যায়ন কমিটিতে রয়েছে। এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ ও রাউজান বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের পুনঃবিদ্যুতায়নেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সংসদীয় কমিটির সদস্য এম আবদুল লতিফ বলেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর সংস্কার করে প্রতিযোগিতামূলক ও স্বতন্ত্রকরণ সময়ের দাবি। বিদ্যমান ইউনিটগুলোর রি-পাওয়ারিং কেবলমাত্র এগুলোর লাইফটাইমকেই বাড়াবে না, লাইফ সাইকেল খরচও কমাবে।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। সরকার এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। সংসদীয় কমিটি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য তাগিদ দিয়েছে।

সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রি-পাওয়ারিং হলো পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে নতুন করে সাজানো। এর মাধ্যমে উন্নত উপকরণ প্রতিস্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব; যাতে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি প্রতিটি প্ল্যান্টের মেয়াদ বাড়বে ২০ বছরেরও বেশি। এতে স্বল্প বিনিয়োগ লাগবে এবং অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হবে না।

প্রতিটি ইউনিটের কার্যকারিতার মাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫ ভাগ বাড়বে। আর যে পরিমাণ গ্যাস দিয়ে ওইসব প্ল্যান্ট পরিচালিত হচ্ছে, সেই একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে রি-পাওয়ারিংয়ের মাধ্যমে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

এছাড়া কার্যকর যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রি-পাওয়ারিং করা হলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণ মাত্রা কমে আসে।

পাশাপাশি মূল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরিচালনার ফলে যে পরিমাণ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে, তাকেও তুলনামূলক কমিয়ে দেয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।