ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উৎপাদন শুরু

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৪
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উৎপাদন শুরু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পার্বতীপুর(দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে।

সোমবার প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়।

দীর্ঘ ছয় মাস পর পূর্ণমাত্রায় কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়ায় খনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এদিকে, পূর্ণমাত্রায় কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালু রাখতে জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা আর রইল না। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার মজুদ রেখে শিগগিরই শিল্পকারখানা, ইটভাটাসহ খোলা বাজারে কয়লা বিক্রি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কয়লা খনি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ মে খনি ভূ-গর্ভে ১২০৫ নম্বর কোলফেইস-এ কয়লা কাটার সময় উপরের পানির পকেট ভেঙে পড়ে কোলফেইসটিতে অস্বাভাবিক পানি প্রবাহের ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রথম দিকে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ (এম অ্যান্ড পি) ঠিকাদার সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম খনি ভূ-গর্ভে স্থাপিত পাম্পের মাধ্যমে পানি সরিয়ে কয়লা উত্তোলনের চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় জুন মাসের প্রথমার্ধে ১২০৫ নম্বর কোলফেইসটি সাময়িকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

এরপর নতুন ১২১২ নম্বর কোলফেইস উন্নয়ন করে গত ১৫ নভেম্বর লংওয়াল মাল্টি স্লাইস পদ্ধতিতে পরীক্ষামুলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। একই সঙ্গে সর্বাধুনিক টপ কোল কেভিং পদ্ধতিতে কয়লা কাটার জন্য মাইনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলানিউজকে জানান- রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪ হাজার ৮ শ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। কয়লা উত্তোলন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় খনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার মজুদ রেখে শিগগিরই শিল্পকারখানা, ইটভাটাসহ খোলা বাজারে কয়লা বিক্রি শুরু করা হবে তিনি জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ১৮শ থেকে ২ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৫০ হাজার টন এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে আরও অন্তত: ২০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে।

তাছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটই ১০/১২ দিন থেকে বন্ধ রয়েছে। আরও ১৫/১৬ দিন বন্ধ থাকবে। তাই ইউনিট দুটির জ্বালানি সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।