ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

শহর ও গ্রামের বিদ্যুৎ-বৈষম্য ঘোচাতে মহাপরিকল্পনা হচ্ছে

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
শহর ও গ্রামের বিদ্যুৎ-বৈষম্য ঘোচাতে মহাপরিকল্পনা হচ্ছে ফাইল ফটো

ঢাকা: বিদ্যুৎ বিতরণের মাধ্যমে সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং শহর ও গ্রামের ব্যবধান ঘোচানোর জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড(বাপবিবো)।

বিদ্যুৎ সেক্টরে জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় বৈষম্য দূর করা হবে বলে জানায় বাপবিবো।

এতে ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।
 
এছাড়া, আর্থিক পরিচালনা, কারিগরী দক্ষতা, সিস্টেম প্ল্যানিং, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন করে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার এক আমূল পরিবর্তন আনবে বাপবিপো।        
 
বাপবিপো সূত্র জানায়, এই লক্ষ্যে একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স প্রোজেক্ট ফর ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অব রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন প্রোগ্রামের’ আওতায় শহর ও গ্রামের বিদ্যুৎ বিতরণে বৈষম্য দূর করে সমতা আনা হবে।
 
জানুয়ারি ২০১৫ থেকে, জুন ২০১৮ সালের মধ্যে এই সমতা আনতে চায় বাপবিপো। এতে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ১৯ লাখ। বাংলাদেশ সরকার দেবে ১১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ‍ঋণ সহায়তা দেবে ৪৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।  

বিশ্বব্যাংক সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার(আইডিএ) মাধ্যমে সহজ শর্তে এই কর্মসূচিতে ঋণ দিচ্ছে। প্রাপ্ত সুদমুক্ত ঋণের মেয়াদ ৬ বছরের রেয়াতসহ ৩৮ বছরে বিশ্বব্যাংককে ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
 
 বাপবিবো’র মালামাল এবং যন্ত্রপাতির টেকনিক্যাল এনালাইসিস কনসালট্যান্ট নিয়োগ ছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) জন্য একটি ম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। ফিন্যান্সিয়াল মনিটারিং এবং অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম অটোমেশনের জন্যও কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রটেকশন প্ল্যানিং স্ট্যাডিসহ অটোমেটেড সিস্টেম রিল্যায়াবিলিটি এবং কোয়ালিটি উন্নয়নের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি(সম্ভাব্যতা সমীক্ষা) প্রণয়ন করা হবে।
 
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড(বাপবিবো) সচিব মাহবুবুল আলম বাশার বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর করতেই আমরা প্রকল্পটি হাতে নিতে যাচ্ছি। এটি নিঃসন্দেহে একটি মহাপরিকল্পনা। প্রাথমিকভাবে এর একটা পরিকল্পনাও তৈ‍রি করা হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা দেবে। ’
‘প্রকল্পের আওতায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজও করবে বাপবিবো। জনবলের প্রশিক্ষণের জন্য নিড অ্যাসেসমেন্ট স্ট্যাডি সম্পাদন করবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ বিষয়ক ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শক নিয়োগসহ নানা ধরনের কাযর্ক্রম করা হবে। ’
 
আপগ্রেডেশন অব রুরাল ইলেকট্রিসিটি  ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম( ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট)শীর্ষক প্রকল্পের ইমপ্যাক্ট মূল্যায়নের জন্যও পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে।

নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় বাপবিবো সূত্র। গ্রামীণ জনগোষ্ঠির জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বিদ্যুৎ বিতরণে বিস্ময়কর পরিবর্তন আনতে চায়। সেই লক্ষ্যে ২৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ফিডার উপকেন্দ্র আরা শক্তিশালী করতে চায়।
বিপুল সংখ্যক বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র আরো উন্নত করতে চায়। সেই লক্ষ্যে ট্রান্সফরমারসমূহ ওভারলোডেড পরিস্থিতি দ্রুত সময়ে চিহ্নিত করে সমস্যা নিরসন করতে চায় বাপবিবো।
 
বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতের প্রচলিত ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করে একই সঙ্গে বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতেই দেশব্যাপী মহাপরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছে বাপবিপো।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।