জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আর্ন্তজাতিক গ্যাস মার্কেটের যে অবস্থা তাতে আগামী ৫০ বছরে গ্যাস প্রাপ্তিতে কোনো অসুবিধা হবে না। তবে গৃহস্থালী জ্বালানির জন্য দেশে আর কেউ কোনদিন গ্যাস সংযোগ পাবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যে কাজে গ্যাস ব্যবহার করলে জাতির উন্নয়ন হবে, উৎপাদন প্রক্রিয়ার সহায়তা পাবে, সেক্ষেত্রে গ্যাস সবাই নির্বিঘ্নে পাবে।
তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যে ন্যাচারাল গ্যাস আমাদের দেশে আসতে শুরু করবে। এ কারণে আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি গ্যাসের জন্য আর কারো কোনো অসুবিধা হবে না। গ্যাস সংযোগ সবাই পাবে। অবশ্য বাড়ির গৃহস্থালী জ্বালানির জন্য কেউ কোনদিন আর গ্যাস সংযোগ পাবে না।
তিনি আরো বলেন, গ্যাসের যে মার্কেট সারাবিশ্বে এতে আমরা নিশ্চিত আগামী ৫০ বছরে গ্যাস প্রাপ্তিতে কোনো অসুবিধা হবে না। এছাড়াও আমাদের লিকুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) পাম্পটা হয়ে গেলেই আমরা নির্বিঘ্নে গ্যাস সরবরাহ করতে পারবো বলেও দাবি করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি নতুন বন্দর চালু করতে যাচ্ছি। পায়রা বন্দর সত্যিকার অর্থে সমুদ্র বন্দর হিসেবে তৈরি হবে। এছাড়াও আমরা দুটি বড় প্রকল্পের চিন্তা করছি। একটি যমুনা থেকে শুরু করে পদ্মা পর্যন্ত চার লেন হাইওয়ে। এটি প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারে যমুনা থেকে শুরু একেবারে পদ্মা পর্যন্ত হবে। আরেকটি হচ্ছে যমুনা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রকল্প। এটি প্রায় দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পগুলো নিয়ে আমরা একটি স্বতন্ত্র বাজেট পেশ করব। যদিও এটাকে স্বতন্ত্র বাজেট বলা উচিত না। বাজেটের একটি অংশ হিসেবেই এটি উপস্থাপন করা হবে। কারণ এর উদ্দেশ্য হল সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং সেই দিকে হিসাব পরিষ্কার করা। কারণ এর জন্য আমাদের যথেষ্ট ঋণ নিতে হবে। এগুলো সহজ শর্তের পয়সা দিয়ে চলবে না। কিছু ঋণও নিতে হবে। তাই খুব সাবধানে বৈদেশিক ঋণ ব্যাপারে আমাদেরকে অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান। বৈদেশিক ঋণের ব্যাপারে মূলস্থিতি মাত্র ২৬ বিলিয়ন ডলার। এটা অত্যন্ত সহনীয় লেভেল। আমরা এর উপরের লেভেলে উঠব কিন্তু সহনীয় লেভেলে যাতে নিজেদের রাখতে পারি সেই বিষয়েও সচেষ্ট থাকব।
আগামীতে উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যের দিকে আমরা চলছি। নতুন ভবিষ্যতের চিন্তা করছি। সেখানে বড় বিষয় হল কি করে আমরা আমাদের এই সব প্রকল্পগুলো কিভাবে রচনা ও বাস্তবায়ন করব।
তিনি বলেন, আমাদের বাস্তবায়ন দক্ষতা অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু এখনো সেটা যথাযথ নয়। আমরা এখনো বাজেটে প্রতিবার যে উচ্চাশা ব্যক্ত করি তা পুরোপুরি কখনো হাসিল করতে পারি না। আমাদের পারসেনটেজ অনেক বেড়েছে। ৯৩ শতাংশ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত করছি। কিন্তু এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। এটাকে আরো সামনে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের দক্ষতা আরো বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা দক্ষতা বৃদ্ধিতে অ্যামব্রেলা প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসকে/এসএম/এসএইচ
** সরকারের লক্ষ্য সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট