ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ফেনীর চর‍াঞ্চলে হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৬
ফেনীর চর‍াঞ্চলে হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ঢাকা: কার্বন নির্গমন কম‍ানো ও বিদ্যুতের বিকল্প উৎস ব্যবহার নিশ্চিত করতে ফেনীর সোনাগাজীতে ১০০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌর ও বায়ুশক্তি ব্যবহার করে ফেনীতে একশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। প্রাথমিকভাবে সোনাগাজী উপজেলার চরঞ্চালে প্রায় এক হাজার একর জমিতে গড়ে উঠবে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

সূত্র জানায়, সোনাগাজী উপজেলার ওই চরাঞ্চলে জনবসতি কম। তাই সেখানে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগড়ে উঠবে। এ কেন্দ্র নির্মাণের পর খালি জায়গার যথাযথ ব্যবহারেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাই এসব জমিতে মাছ চাষের ব্যবস্থাও থাকবে।

পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান (বিদ্যুৎ উইং) খলিলুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সোনাগাজীর চরঞ্চালে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ’

‘এতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি টাকা। এ প্রকল্প হলে বিশাল ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। ’

তিনি বলেন, এক সঙ্গে যাতে করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মাছ চাষও করা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।

ভূমি অধিগ্রহণের পরই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানান খলিলুর রহমান।

সূত্র বলছে, ১০০ মেগাওয়াট পিক সোলার ফটোভোল্টেইক গ্রিড সংযুক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ‍এক হাজার ৪৬০ কোটি ২৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৮২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। আর ৫৮ কোটি ১২ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)।

এছ‍াড়া বাকি এক হাজার ২০ কোটি টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের ঋণ পাওয়া যাবে।

২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে প্রকল্পটি।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার মাত্র ২ শতাংশ। বাকিটা প্রাকৃতিক গ্যাসসহ অন্যান্য উৎস থেকে আসে। নিরাপদ ও সাশ্রয়ী এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় সোলার পিভি মডিউলস, এসি ইনভারটাস, মাউন্টিং স্ট্র্যাকচার, স্ক্যাডা সিস্টেম, ক্যাবলিং এবং এক্সোসোরিজ কেনা হবে। কেনা হবে সাব স্টেশন, ১০ কিলোমিটার ১৩২ কেভি ইভাক্যুয়েশন লাইন, আবশ্যিক খুচরা যন্ত্রপাতি। কাজের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রকল্পের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, জ্বালানি হিসেবে বিশ্বব্যাপী তেল, গ্যাস, কয়লার প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছে।

সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সৌর শক্তি, বায়ু, সমুদ্রের স্রোত ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করছে বিশ্ব। সৌর শক্তিকেও ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।

বাংলাদেশেও সেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব পরিবেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে এগুচ্ছে বলে জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮,২০১৬
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।