বিগত দিনগুলোতে মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বড় কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ছিলো না। পহেলা বৈশাখে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে ডা. মো. শাফায়েত উল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মিশর শাখা আন্তঃপ্রকাশ করে।
ছাত্রলীগের অংশগ্রহণে প্রবাসী মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ মিশর প্রবাসীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ মেডিকেল ক্যাম্প মিশরের প্রতিটি প্রদেশে নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে। তবে ভাষা ও ভিসা সমস্যার জন্য মিশরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতোদিন মৌলিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ছাত্রলীগ গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মিশর শাখার সভাপতি ডা. মো. শাফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘মিশরে আমরা আসলে পড়াশোনা করতেই এসেছি। কিন্তু এখানে আসার পর দেখলাম সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারণে অনেক হয়রানির শিকার হয়ে আসছে। আমার মতে, যেসব শিক্ষার্থী সাধারণ ছাত্র এবং কোনো ধর্ম ভিত্তিক দলের অনুসারী নয়, তারা এখানে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। কোনো সংগঠনই তাদের দায়িত্ব নিতে চায় না। আমি বাংলাদেশে থাকাকালীন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দেশে সুনামের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আমি যখন এখানে ছাত্রলীগের ডাক দিয়েছি, তখন অনেক অবহেলিত ছাত্র আমার ডাকে সারা দিয়েছেন। এরাই আমাদের শক্তি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন নিপীরিত মানুষের নেতা ছিলেন, আমিও সে মহান নেতার মতো এ সব শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার বিশ্বাস এ ছাত্রলীগ মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এক মিলন মেলা ও সফলতার সহায়ক বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। জ্ঞানের সঙ্গে মানবিক কাজে ছাত্রলীগ হবে নিবেদিত প্রাণ। মিশর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ জি এম সাইদুল হক সুমন ভাই প্রবাসীদের চিকিৎসা সমস্যার কথা যখন ব্যক্ত করলেন তখন একজন রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার হিসেবে আর বসে থাকতে পারিনি। মিশরে বসবাসরত অন্যান্য ডাক্তারদের সঙ্গে আমিও ছাত্রলীগ নিয়ে মেডিকেল ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করি। ছাত্রলীগের সাহসী কর্মীরা বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্যাম্পকে ধর্ম-মত-দল নির্বিশেষে মিশরে বসবাসরত সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ছাত্রলীগের একমাত্র লক্ষ্যই হবে অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের সেবা করা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
বিএসকে