রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সিডনির একটি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন অজয় দাশগুপ্ত এবং অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— অপু সারোয়ার, মহিউদ্দিন চৌধুরী, নোমান শামীম, জুয়েল তালুকদার, মশিউর রহমান হৃদয়, আলাউদ্দিন অলোক, ফয়সাল মতিন, হারুন অর রশীদ, ডা. একরাম চৌধুরী, শাহ আলম, ড. শাখাওয়াৎ নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতুর রহিম বেলাল, নেহাল বারী ও নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। জাতীয় চার নেতার অন্যতম খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই পাকিস্তানের চর হিসেবে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তার যোগ্য রাজনৈতিক উত্তরসূরীদেরও হত্যা করা হয়, যেন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেন, যার মাশুল জাতি আজো দিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে জাতীয় চার নেতার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে জেলহত্যার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত তুলে ধরেন।
তারা বলেন, মুশতাক-জিয়ারা যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন, তা আজও শেষ হয়নি। আজও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের তাই সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এইচএ