লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে ও সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় কর্মসূচিতে।
করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, মুজিববর্ষে সে স্বাধীনতা দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। এই ঐতিহাসিক দিনে আমি জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকার, জনগণ এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পর্ক ছিল অবিচ্ছেদ্য ও সুগভীর। যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রিকগনাইজ বাংলাদেশ, স্টপ জেনোসাইড এবং রিলিজ বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তুলে বাংলাদেশের বাইরে স্বাধীন দেশের জন্য আরেক ধরনের মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। এজন্য আমি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের আলোকিত পথিকৃৎ অভিহিত করে বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ সরকার ও প্রখ্যাত ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির কারণে অনেক অনুষ্ঠান ইতোমধ্যেই স্থগিত করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
টিআর/টিএ