পর্তুগাল থেকে: পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
রোববার (০৮ আগস্ট) দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিশেষ আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে পর্তুগিজ সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ এবং শোকাবহ আগস্ট মাসের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে যথাযথ মর্যাদায় জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতার সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণা দানকারী এবং অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বঙ্গমাতা সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে জাতির পিতাকে প্রায় ১৩ বছর কারান্তরীণ থাকতে হয়, সে সময় বঙ্গমাতা সুচারূভাবে পরিবারের দেখাশোনার পাশাপাশি জাতির পিতার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিণী হয়েও তিনি সব সময় সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সামাজিক পুনর্গঠন এবং অসংখ্য বীরাঙ্গনার স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসনে বঙ্গমাতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সব শেষে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২১
এসআই