দুনিয়ায় মানুষ কমবেশি বিপদ, মসিবত ও পেরেশানিতে পড়ে। এসব থেকে মুক্তি লাভের উপায় হিসেবে নবী করিম (সা.) উম্মতকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন।
ক. আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, আমি (নবী) ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দুঃখ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়াটি পড়বে আমি তাদেরও মুসিবত থেকে মুক্তি দিব। -সূরা আম্বিয়া : ৮৮
খ. হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে মুসলমান হজরত ইউনুস (আ.)-এর ভাষায় দোয়া করবে; সে যে সমস্যাতেই থাকুক না কেন- আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -তিরমিজি
গ. হজরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) দুঃখ-কষ্টের সময় বলতেন : লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন। (একমাত্র তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয় আমি সীমা লঙ্ঘনকারী)। -জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০০
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।
অর্থ : আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া : ৮৭
এটা কোরআনের দোয়া এবং দোয়া ইউনুস নামে প্রসিদ্ধ। এই দোয়া যে যত বেশি পড়বে আল্লাহতায়ালা ওই বিপদ সহজ করে দেবেন।
যদি আমরা এ জাতীয় ছোট ছোট দোয়া বেশি বেশি পাঠ করি এবং নিজেদের অভ্যাসে পরিণত করি তাহলে আশা করা যায় মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘন্টা, জুলাই ১২, ২০১৫
এমএ/